70Th pOsT : অতীন্দ্রিয় চক্রবর্তী


লিখন-রমণ সমাচার
(ভালোবাসা, আদোর ও চুমু)

উপনীত হৈ এক অভিজ্ঞান-ইমোশানময় তালগোল বিস্তারে। সেখানে বিকাশের ক্ষমতায়ন। শুধাই কিসের বিকাশ? পাঠ/বোধ/পাঠবোধ শান্ত স্বরে উত্তর করিল – কম্পনের।
এই তালগোল-বিস্তারের ইতিহাস দীর্ঘ। মানুষ কবে কথা বলল আমি নিজের থেকেও জানি, পাঠ থেকে ভাসা ভাসা আন্দাজ কর্তে পার্লেও ঐ অবধিই। কিন্তু উক্ত বিস্তরের রীতি-ফর্মা-শৈলী-র কাঠামোগুলো, তার চিহ্নকগুলো, ঐ পাঠ/বোধ/পাঠবোধ বলছে ওর নিজের ইতিহাস দিয়েই নির্ধায়িত। অতএব, লাইন টেনে, উক্ত ক্ষমতায়ন।  
ছে আর নি টপকিয়ে ওপারে বিন্যস্ত রঙমহল, তাতে শব্দ-অর্থ-কাম-মোক্ষ ইত্যাদির টুকিটাকি মিলিয়ে যে দৃকচাপ/টেক্সট-ঘটনা-র বিন্যাস, রঙমহল
ঐখানে হীরা-মোতি ক্রম
ঐখানে বোধোত্তর
পড়ে যদি মীরমদন খাঁড়া মোহনলাল।
এই বিষয়ে, মেটাফিসিকালি, নাগার্জুন-ছোঁয়া। ঐ ছে-নি টপকিয়ে, ঐ বিমল - {/raw-(মণ/ন)+ঢ}ঙমহল অবধি হর্ষমর্ষকাম ব্রিজ বাঁধার ফ্যুয়েল, বোধ হয়, সেই অভিজ্ঞান-বিন্যাসের তালগোলআমার বোধ হয়, অনেকাংশে সংবেদ প্র(তি)ক্রিয়া। সংবেদসমষ্টি আমি যা পেয়ে চলি চারিদিকে কিলবিলিয়ে। কিলবিলিয়ে সংবেদসমষ্টি চারিদিকে আমি পেয়ে যা চলি।     

পদ্য কি কেন কবে কখন, গদ্য কি কেন কবে কখন প্রভৃতি আলেখলতা, অর্থে আমাদের অ্যালেগরিক ঐ রম্য ঢংমহলের কোনটা কি, কোনটা খায় কোনটা বা মাথায় দেয় ইত্যবিধ সংস্কারচব্য, আমি ভেবে আর পড়াশুনো করে শিখ-ছি, যে, ঐ ক্ষমতায়নের দীর্ঘ ইতিকথায় নিহিত। লেখনক্ষেত্রে এর উৎসমুখ, মনে হচ-ছে, শব্দগর্ভে, পাঠক্ষেত্রে অর্থগর্ভে, টেক্সটক্ষেত্রে বোধগর্ভে। এও এক অনাবিল হেজিমনিহার, তোমায়-আমায় সাজে। মেহের আলির উৎপাতে অধির হলে ইয়ারফোন অন, ভল্যুম আপ। গোবদাভাষ্যে, গীতার একাদশধ্যায়ে ভগবান যে’র’ম আগের থেকেই দুষ্টুলোকেদের চিবিয়ে গিলে নিয়েছিল, সের’ম এগুলোও আগের থেকেই ঠিক করা। তারই উপর যত প্যাঁচপয়জার। কেন এই নির্ধায়নের প্রয়োজন ঘটল তা আংশিক অস্ফুটে ছোঁবো বোল্লে সে ছে-নি-র ওপারের ইতিহাস ও চেতনার গঠন, তার ক্ষমতার বিন্যাস ছুঁতে ছোটো।
সে অনেক শতাব্দীর বুদ্ধিজীবির কাজ।   
ক্লাস ইস টেম্পোরারি, ফর্ম ইস পার্মানেন্ট। মানুষের যৌনচেতনার সঙ্গে মানুষের শরীর যে মতে সম্পৃক্ত, লেখার ভাষা/বোধ-চেতনা সেভাবেই লেখার শরীররের সাথে সে মতেই নিহিত। কাঁটাছেড়া যাই কর, সকলি শরীরের পরিসরে। ঐ যে, অনেক শতাব্দীর বুদ্ধিজীবি বললেন ‘দেয়ার ইস নাথিং আউটসাইড অফ টেক্সট’। শারীরিক পরিচয়েই শরীরধারী ও শরীরবাহির মৌলিক চিহ্নকএই মত স্ট্রাকচারালিস্ট সমীকরণ থেকে বেরুনোর গোঁতাগুঁতি চলে, কিন্তু বাহির পথের অভিমুখ যে বিস্তারে সেখানে গোদাক্ষরে লেখা “তুই শালা যতৈ পাঁয়তারা কষ, কোনোভাবেকোনোরূপে শরীর দিয়ে, চিহ্ন দিয়ে, ঐ ছে-নেই পাঁচিল টপকাতে পারবি না”। নেতিবাচ্যে আমরা স্তম্ভিত ও ইগোর ঘোরকাছে সেফটিপিন। পদ্য তাই যা পদ্যর মতো আর গদ্য তাই যা গদ্যর মতো।
    
অ - প্রমিতি এক মজার খেলা। শূন্যকে ধরব প্রমিত ল্যাসোতে যা বীরদর্পে ছুঁড়লাম নিঃস্বভাব উদ্দেশে, ফাঁসল শালা অভাব। 
আ – হিরোর মূল সমস্যা, সে কিছুতেই জাদুকরকে মানে নাসেই নিয়ে ক্ষত্রিয়- ব্রাহ্মনের যুদ্ধ লিখনকারের ভিতর। উত্তরাধুনিক এলো এবং ফয়সল্লা দিলো – একেও মানো, ওকেও মানো। লিখনকার ভ্যাবাচ্যাকা।
ক – মৃত প্রকাশ-মুহুর্ত থরে থরে জমা খরচ। সকল খিলাড়ি যাহা ক্যাচ করিয়াছেন তাহাই উহাদের নিকট চুড়ান্ত। ইহা-ই বিন্যাস। ছিঁচকাদুনে হাইফেনের উস্পার ঝকঝকে শার্প নেকড়েদেঁতো হ্রস্ব-ই টুকুতে ধরা রয় ধরাধরির ধারাপাতবিকাশের ইতিহাস কি এমনিধারা নয়?    
খ – বহুস্বর নয় কেউ। এক ব্যক্তি একস্বর। ছক গুলি চিনে চিনে সরণ। সামথিং আউট অফ নাথিং-এর মায়াটানে সাজান প্রতিভ ক্যানভাস এই ভাব-এ রূপ হয়, স্বর হয়।

রাইসোমে থাকতে চাই-ছি। একক নির্বচন এম্নিতেও নাই অম্নিতেও নাই। সুতোর গিঁটগুলো, তার বাচ, তার ঢং-ঢলন-ভঙ্গী-প্রতীক-সঙ্কেতময় ধরে সেই বিশেষ মৃতমুহুর্তে হাজিরা দিচ্ছে, বোধ দিচ্ছে। প্রকাশ বা পাঠ কোনোটাকেই টেক্সট ধরা যায় না বোধ হয়, কারণ টেক্সট সেই মৃত-অর্থের মায়াবালি খুঁড়ে অণ্টোলজিরূপ অস্ট্রিচ। গোটাটা, লাকাঁসায়েবের ল্যাজ ধরে দেখলে, ঐ, ধরা যায় না। গিঁটগুলো যায়। উপভোক্তাপাসক বর্তমান বহু(ল)মাধ্যমী। ঐ সুতো বরাবার যুক্তি আর যুক্তি-গুহায় ঘাপটি বিযুক্তির টরেটক্কায়  অযুত সম্ভাবনা তাই জবদঙ্গল বহুতাসমষ্টি দুলায়ে দুলায়ে চলিতেছে নড়িতে নড়িতে; প্রতিটা মুহুর্তে একাধিকের ভানুমতী, কোনটা কখন জেগে উঠবে ও রাজা হবে তা কেওসঠাকুর আলবাৎ জানেন। বিকাশকে তাই, বেক্তি–গত বেক্তিপ্রেক্ষী, টেক্সজালে না ধরে ঘটনা-ভাব-এ দেখলে আরামপ্রদ ঠ্যাকে।
মার্জিনকাকুরা বলেছেন আমরা মেকলেসায়েবের জারজ সন্তান। সেই সুত্রে, আমাদের সাহিত্যচেতপাঠ তথা লিটারেরি স্টাডি রেনেসাঁগন্ধি। টেক্সট-ভাব-এ ধরলে তাই আকার ও আকরিক বুনন, তাকে এসেনিশিয়ালিস্ট বাচি বা মডার্নিস্ট বাচি বা স্ট্রাকচারালিস্ট বাচি যা-ই বাচি, সাহিত্যটেক্সটের শরীর কঠিন সিগনিফায়ার। তখনই ফর্ম দেখি ঘটে পার্মানেন্ট। অর্থাৎ গদ্য-পদ্য-র বা অন্যান্য বিভিন্ন বিভাজনরীতির লেগাসিপরম্পরা থাকে, যখন টেক্সটরূপ দেখি। কিন্তু কালের খেয়ালে শরীরধর্মিতা ছেড়ে যদি প্রেক্ষকই ভগবান প্রেক্ষকই নিয়ন্তা ধারি, তাহলে ঐ শরীর দেখে “নাম দেওয়া”-র প্রয়োজন হল না। টেক্সট-পাঠভূম ছেড়ে ইভেণ্ট-গ্রহণভূমে পৌঁছে কি দেখিনু আহা? যে নামে ডাকি তাই নাম, গনেশ হৈল গাজি কার্তিক হৈল কাজি ফকির হৈল যত মুণি।


কবিতা শব্দে যে বোধ হয় তাতে যুক্তি-অর্থের নিগড় নেই, রিসন-এর খাঁজ থেকে Full Montyরূপ আনরিসন হারেরেরে খোলা তরোয়ালে বেরিয়ে এসেছে। “মানে”র প্রতিষ্ঠানের বিরোধি এমন একটা সাবজেক্ট কে সংজ্ঞার অবজেক্ট-খোলোসে খাপবন্দী করার প্রয়োজন, প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন – ইউটিলিটি। তবে ‘কবিতা কি?’ গোছের বদপ্রশ্নগুলোর উত্তর হয় না কারণ প্রশ্নগুলো নিতান্ত নাবাল ব্যতীত অপর ঊর্বর-চিন্তার ফসল হয় না। আর “এটা কবিতা”, “এটা গদ্য”, “এটা নোকিয়া লুমিয়া”, “এটা রাখি সাওয়ান্ত” করে করে এগোলে কি হয় সে বিষয়ে জানার এলাহী আয়োজনের কুপনে লাকি ড্র জিতে নিলেই কেল্লা ফতে আর কি। শরীর দেখে “এটা মদ্দা”, “এটা মাদী” বা, সিমিলার্লি, “এটা পদ্য” “এটা গদ্য” চিহ্নায়নের পিছনের ক্ষমতাবিস্তার, সংস্কার-বিন্যাসের চব্য তো একপ্রস্থ হয়েই গেল একটু আগেই। শরীরের বাইরে আদৌ কী কিছু চিনতে শিখেছি কোনোদিন?

শিল্পের কেন্দ্রে সুন্দরসুন্দরের প্রয়োগ-বিয়োগ-প্র/বি-কল্প নিয়ে ওয়াইল্ডোত্তোর উস্পারে অজস্র ঝড়ঝাপট ঘটেছে, কবিতাতেও। ইস্পার প্রগতি-প্রতীকি-স্যুরিয়্যাল-ক্ষুধার্ত-নতুন অনেক চর্চায় ও চর্যায় নন্দন-অনন্দন-ভিন-নন্দন-নংনন্দনের ঢেউ উঠলেও, সেগুলোর সবকটা বা কয়েকটা উস্পারানুগ ভাব-এ আভাঁ-গার্দ বলা চলে না বোধ হয়। আভাঁ গার্দ ধারণার মূলে ব্যক্তি, এবং উস্পারে, মানে গোদাক্ষরে, পাশ্চাত্যে ব্যক্তি জুড়ে জুড়ে সমাজ – এমন কাঠামো-ই সমাজধারণার ভিত্তি, অতএব ব্যক্তিবিকাশ রাজনৈতিক বা ধর্নীয় বা ইডিওলজির পরিপন্থী হলেও, সমাজ-বনাম-ব্যক্তি সংঘর্ষের চকমকি-স্ফুলিঙ্গ গুলো জ্বলে। ইস্পারে বেক্তিকে বেষ্টন কর্ছে সমাজ। তাই আমি যে দুটো ভাষার মাধ্যমে একটু পড়ালেখাশুনো করতে পার্ছি ইস্পারের সেই দুই মাধ্যমের চর্চাতেই কিন্তু ইস্পারে লেখনৃতির চেয়ে পাঠ-রীতি বিষয়ক চর্চা অনেক বেশী। পাঠ-রীতি বিষয়ক চর্চার প্রয়োজন বাজারের, বাজারের প্রয়োজন মিডিয়া, পাব্লিক ইনকর্পরেটেড ও তার বহুবিধুমুখী আয়ডেণ্টিফায়ার্স যথা রাজনৈতিক, ও নানাবাদীবিবাদীবাঘদের, এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রঠাকুরের ও রাষ্ট্রটাকুরের যারা ঠাকুরেরা তাদের সকলের সম্মিলিত চুম্মু, মানে দুনিয়ার উপভোক্তা এক হও-র মহান্দোলনে সামিল থাকতে হলে সাহিত্যবাজারে পাঠ-রীতির চর্চার ভীষণ-ভয়নক-প্রচণ্ড-ভাব-এ দরকার। লিখনরীতির চর্চার প্রয়োজন নেই কারণ উক্ত মহান্দোলনে তার চাহিদা নেই।
এই মসৃণ-শার্প ঢ্যামনামোর প্রথম বলি তো সেই জানা আর জানার যাত্রা ভারতীয় ইংরেজি কবিতায় যেরকম আধখানা নিঃসীম আর পোয়া খানা শেঠজী ছাড়া আর কোনো বিষয়ই বাজার খাদ্যযোগ্য মনে করে নি এবং তার ফলে এখনো বহির্জাললব্ধ ভারয়ীয় ইংরাজি কবিতা-বৈষয়িক জ্ঞানের উপর নির্ভর কর্লে জানা যায় যে “কণ্টেম্পরারি রিয়েলিটি”-র চিত্রায়ণ(!)-ই (এখোনো) ভারতীয় ইংরেজি কবিদের গুণমানের শ্রেষ্ঠ মাপকাঠির, এর থেকে যদি বোধ হয় যে তাদের “ভারতীয়” পরিচিতিটার উপরই সমস্ত এম্ফ্যাসিস, তারা ইংরেজী কবি না কলকাতাই বাঙালী প্রগতিপ্রবর না মারোয়াড়ি ব্যাবসাধুরন্ধর না ভিক্টরিয়া টার্মিনাসের পিছনের অনন্ত বিশ্ববিস্ময়কর এফিসিয়েন্সিসাধক ডাব্বাওয়ালা তাতে কোনো চর্চকদের কিস্যু এলো গ্যালো না, এবং তার থেকে যদি বিস্ময় জাগে এই ভেবে যে ভারতীয় ইংরেজি কবিদের সমস্ত লিখন-রীতি-র চর্চা উপেক্ষা করা এযাবৎ সম্ভব হয়েছে বা ক্ষেপ জাগে এই ভেবে যে প্রসাদলব্ধদের বৈষয়িক তথ্যভারে বহির্জাল থরোথরো এবং/অথবা পুষ্ট, বা ইক্যুএশন জাগে যে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো ভাষা যাদের মাতৃভাষা তাদের উপমাহাদেশগন্ধীতাই তাদের দ্বিতীয় সায়েবভাষার চর্চাতে উস্পারের ইংরেজি কবিতার এতো জোয়ার-প্রতিরোধ-কালচার-কাউণ্টার-আন্দোলোনকে প্রতিহত করেছে, তাহলেই বাবলি বদমাশ হ্যায় আর কি। ভার্চুয়াল মাধ্যম, সামাজিক জালে ফাঁসার আর প্রেক্ষিতকে চয়েসলেস ভাব-এ উপভোগী করে ফেলার আতুর আকর্ষণ কোনো কবির তার কবিতার সেলসম্যান হওয়ার অপমানটা সহ্য করার অমানুষিক শক্তি না থাকলে বা ইচ্ছাবলে স্কিৎসোফ্রেনিক হওয়ার দৈব বর পেয়ে না থাকলে, ঐ দ্যাখো ভাই চাঁদ উঠেছে এবং বাবলির (সঙ্গে) বদমায়শী। বাঙলা সাহিত্যচর্চায় আমার বেক্তিগত আরাম বেশী যার কারণ হল এই মানচিত্রে লিখন-চর্চার মায়াণ্টলজি চারুপাঠের গৎপথঘৎ গুলো দেখতে পাই, যে দেখতে পাওয়ার কারণ কয়েকটা কোঅর্ডিনেট। ইংরেজিতেও লিখছি কিন্তু মেকলেজারজদলের চর্চার অবস্থানের ও তথাকার সিমিলার গৎপথঘৎ ঐ কোঅর্ডিনেটগুলোর জন্যই বোধ হয়, সেই ম্যাপে দেখি না।    
পাঠক কি মাথার ভিতরে বসে আছে তাই-হলে? পাঠক-উপভোগীর মুখ-মুখোশের কনফ্যুশানে পুরো পিকচারটাই ঘেঁটে যায়। উপায়/অন্তর প্রণালীপ্রক্রিয়াকসুরকসরৎ খুঁজি, সুড়ুৎ-সাড়াৎ সেঁধৈ, অবস্থান পালটাই, সরতে থাকি। কিছুটা কেরুয়াকপন্থা পাঠ নিলাম। ২৮শে ডিসেম্বর ১৯৫০-এ উনি নীলবন্ধুকে চিঠি লিখলেন মোহমধুতে “written with the mysterious outside reader, who is certainly not God, bending over my shoulder; even the neatness of the page, not a correction, not an X, not a blot.”  
(দেখুন কি মোলায়ম the. )  কিছুপথ উনি সেই কল্পপাঠকে পলিশ মেরেছেন, ঝাঁ-শান কোরেছেন। বর্তমান বহুসর্বস্বে কি সে’র’ম অ্যাক-জন-কে দ্যাখা যায়? দ্যাখা না গেলে তাকে দ্যাখার চেষ্টা-করা-টা-ই কি লিখনস্ফুর-তি কে গ্রাস করবে না?      
মুখ ফেরাবো কোথায়?
অতএব, চাইছি পাঠপ্রাচুর্য্য, অথচ পাঠক কোন ভাব-এ ঐ বস্তু, অর্থে এক্সিকিউটেড জড়মরবস্তু অর্থে ফর্ম্যাল্ডিহাইড-জারিত প্রকাশের মৃতশরীরটিটাখানাখানিগুলিগুলো তার ভাব-//প্রকৃতি ধরা চেষ্টাবাহুল্য। অতিরেকে ত্রিবেদীর দু-দিকের কানের দশা। স্বরচনপাঠে ঠোকঠোক্কোড় ও তজ্জনিত স্ফুলিঙ্গদর্শন এবং বহির্বিমুখ হ্যাল - যার আসন হস্তমৈথুন ও আত্মহননের মাঝামাঝিতায় প্রাপ্তি।
তুষ্টি ও তৃপ্তির জায়গা যথায়।  হে(ঃহেঃ)থায় পাবো তারে। 
(পাত্তা দে হারামজাদা নইলে গ্রাফসুদ্ধ খাবো!)
বেক্তিপুষ্টভোগমাই কি জয়! হস্তমৈথুনস্মুদমাই কি জjয়y! স্যুসাইডসুডৌলমাই কি jঅয়y! সম্ভবসম্ভবনাটৈটুম্বুরমাই কি joy! অতএব,
পরিশীলিত অশিষ্ট:
সুতোয় সুতোয় অযুত সম্ভবখোঁচ আমাদের এই কেওসাকার রঙমহলী ঢংমহলী মায়াবনে। সকলি ঘটব্য ও নাঘটব্য। বহুতাহীরোদের দ্যাখো, কি অবলীলায় আমাদের প্রফেট-কে এবং আমাদের অপ্রমিত অপ্রকল্প নিঃসভাব নিঃসম্ভব-কে বিশ ফুট নীচে গোর দিল। অতএব, এসো, সকলে মিলে চা খাই, বীটবক্সাই ও শরীরে প্রকৃতিতে জ্যান্ত থাক্-ই।